11/23/2024 শিশু বাস্তুচ্যুতির তালিকায় শীর্ষ চারে বাংলাদেশ
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৪৬
বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিশ্বজুড়েই শিশু বাস্তুচ্যুতির হার বেড়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে, সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলতে বোঝানো হয়েছে বন্যা, ঝড়, খরা এবং দাবানলের মতো দুর্যোগগুলোকে। ইউনিসেফের হিসাব অনুসারে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৪ কোটি ৩১ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ, বন্যার কারণে ১ কোটি ৯৭ লাখ, খরার কারণে ১৩ লাখ এবং দাবানলের কারণে ৮ লাখ ১০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ এশিয়ার শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, পাঁচ বছরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত হওয়ার শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখ। যা মোট বাস্তুচ্যুত শিশুর ৪৪ শতাংশ। এর বাইরে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাস্তুচ্যুত শিশুর পরিমাণ ২৬ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে যা ১ কোটি ১০ লাখ।
এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে। দেশটিতে পাঁচ বছরে ৯৭ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ভারত। দেশটিতে ৫ বছরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬৭ লাখ শিশু। এশিয়ার আরেক দেশ চীন রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬৪ লাখ শিশু।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩৩ লাখ শিশু। এর মধ্যে বাংলাদেশে বন্যায় বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ৯ লাখ ৫০ হাজার এবং ঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৩ লাখ।
উল্লেখ্য, তালিকায় থাকা বাকি ৬টি দেশ যথাক্রমে সোমালিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এবং কিউবা।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.