11/23/2024 লক্ষ্যের অর্ধেক গাড়িও চলেনি বঙ্গবন্ধু টানেলে
মুনা নিউজডেস্ক
৩০ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:১৩
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক গাড়িও চলেনি। পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল দ্রুত ও উন্নত করতে টানেল নির্মাণ করা হয়। পণ্য পরিবহনের গাড়ি কম চলায় লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যাওয়া সম্ভব হয়নি। বেশির ভাগ চলেছে ছোট গাড়ি।
যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) সমীক্ষা অনুযায়ী, টানেলে যান চলাচল শুরুর প্রথম বছর ৬৩ লাখ গাড়ি চলতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। সে হিসাবে গড়ে প্রথম মাসে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার গাড়ি চলার কথা। প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল।
বিবিএর সূত্র বলছে, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত টানেল দিয়ে মোট এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৭১টি গাড়ি পারাপার করেছে। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে গাড়ি চলেছে পাঁচ হাজার ৮২৯টি। এসব যান চলাচলে টোল বাবদ আয় হয়েছে চার কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ টাকা।
এ সময়ে ৯২ হাজার ৮৭১টি কার ও জিপ চলাচল করেছে।
পিকআপ চলেছে ১১ হাজার ১২৭টি। মাইক্রোবাস ৪৭ হাজার ৫৮২টি, ছোট বাস ১০ হাজার ৪৬২টি, মাঝারি বাস দুই হাজার ১৭৫টি, বড় বাস চলেছে মাত্র ৯টি। এ ছাড়া ছোট ট্রাক চলেছে চার হাজার ৬৯০টি, দুই ধরনের মাঝারি ট্রাক চলেছে চার হাজার ৪৪৭টি এবং তিন ধরনের ট্রেলার চলেছে এক হাজার ৫০৮টি।
এক প্রশ্নের জবাবে সেতু বিভাগের সচিব ও বিবিএর নির্বাহী পরিচালক মো. মনজুর হোসেন বলেন, টানেল নির্মাণের লক্ষ্য ছিল শিল্পায়নে যোগাযোগের গতি উন্নত করা। আনোয়ারা প্রান্তে যখন শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে এবং মহেশখালীসহ অন্যান্য পরিকল্পিত অবকাঠামোর কাজ শেষ হবে, তখন যান চলাচল আরো বাড়বে।
আপাতত টানেলের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যান চলাচল ঠিক আছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখনো শিল্পনগরী গড়ে ওঠেনি। তাই পণ্যবাহী যান চলাচল বৃদ্ধির সুযোগ নেই। আবার টানেল চালু হওয়ার পর থেকেই হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়মিত চলছে। কক্সবাজারের পথে বাস চলাচল করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.