11/23/2024 রক্তের একটি জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া
মুনা নিউজ ডেস্ক
৯ মে ২০২৩ ১৫:০৯
রক্তের একটি জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া, যা বংশগত। একটু সচেতন হলেই এই রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহে পর্যাপ্ত লোহিত রক্ত কণা উৎপাদন হয় না। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। মা অথবা বাবা অথবা মা-বাবা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়ার জিন থাকলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যে ছড়ায়। তবে এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। জিনগত ত্রুটির কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগ হয় কয়েক ধরনের। যেমন—বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর, বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট, হিমোগ্লোবিন-ই ডিজিজ, হিমোগ্লোবিন-ই ট্রেইট, হিমোগ্লোবিন-ই বিটা থ্যালাসেমিয়া, হিমোগ্লোবিন-এইচ ডিজিজ, হিমোগ্লোবিন-এস (সিকল সেল ডিজিজ), হিমোগ্লোবিন-ডি।
লক্ষণ :
এই রোগের লক্ষণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুুখমণ্ডল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, অবসাদ অনুভব, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ত্বক হলদে হয়ে যাওয়া (জন্ডিস), অস্বস্তি, অস্বাভাবিক অস্থি, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমা হওয়া, পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া, সংক্রমণ, মুখের হাড়ের বিকৃতি, ধীরগতিতে শারীরিক বৃদ্ধি, গাঢ় রঙের প্রস্রাব, হৃিপণ্ডে সমস্যা ইত্যাদি।
পরীক্ষা :
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঈইঈ ও ঐন ঊষবপঃত্ড়ঢ়যড়ত্বংরং পরীক্ষা করে থ্যালাসেমিয়া রোগ ও থ্যালাসেমিয়ার বাহক নির্ণয় করা হয়। এই রোগটি নিশ্চিতকরণের জন্য থ্যালাসেমিয়া জিনের মিউটেশন বিশ্লেষণ বা ডিএনএ বিশ্লেষণও করা হয়।
প্রতিরোধে করণীয় :
যদি থ্যালাসেমিয়া রোগের কোনো বাহক অন্য বাহককে বিয়ে না করে তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমতে থাকবে। এ জন্য বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ে উভয়েরই রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। যদি একজন বাহকের সঙ্গে একজন সুস্থ মানুষের বিয়ে হয় তবে সন্তান বাহক হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। যারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক বা জিন বহন করছে তারা প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। বিয়ের পরে যদি থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তান নিতে হবে। এভাবেই এই নীরব ঘাতক রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই প্রত্যেকেরই উচিত এই রোগ সম্পর্কে জানা এবং অপরকে জানানো।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.