11/22/2024 ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘোরে যে মসজিদে
মুনা নিউজ ডেস্ক
৭ মে ২০২৩ ১৫:০৮
বছরের পর বছর ধরে, প্রচলিত নিয়মে বাঁ থেকে ডানে না গিয়ে ঘড়ির কাঁটা ছুটছে উল্টো দিকে। এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘড়ির দেখা মিলবে তিউনিসিয়ার দ্য গ্রেট মস্ক অব তিস্তুরের মিনারে।
অদ্ভুত নিয়মে চলা এ ঘড়ি বানানো হয়েছে অন্তত ৪০০ বছর আগে। খবর ইয়াহু নিউজের।
১৭ শতকের প্রথম দিকে, স্পেন থেকে আন্দালুসিয়া সম্প্রদায়ের অনেকেই পালিয়ে তিস্তুরে আশ্রয় নেন। তাদেরই একজন নির্মাণ করেছিলেন মসজিদটি। সেই নির্মাণশৈলী এত বছর পরও ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা।
সব কিছু ছাপিয়ে অবশ্য মসজিদের রহস্যময় ঘড়িটিই রয়েছে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে। এর কাঁটা কেন উল্টো দিকে ঘুরছে তা নিয়ে রয়েছে নানা মত।
অনেকের বিশ্বাস, কাবাঘর তাওয়াফের সময় ডান থেকে বাঁ দিকে ঘোরেন মুসল্লিরা। আর তাই ঘড়িটিও সেভাবেই বানানো হয়েছে। স্থানীয় অনেকের মত, পালিয়ে আসলেও, অতীতে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আন্দুলিসানরা। তাদের সেই স্বপ্নকেই ঘড়ির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
তিস্তুরের শহর সুরক্ষা সংস্থার সভাপতি রাচিদ সোসি বলেন, কেউ কেউ বলেন— কাবার চারপাশে মুসল্লিরা ডান থেকে বাঁয়ে ঘোরে, আরবি লেখা হয় ডান থেকে বাঁদিকে সে অনুযায়ী ঘড়িটি বানানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের মতো, তারা আন্দালুসিয়ার স্মরণে ঘড়িটি এভাবে বানিয়েছিল। আন্দালুসিয়া অঞ্চলের অবস্থান মানচিত্রের বাঁ দিকে।
মসজিদের মিনারের গায়ে থাকা আরেক রহস্য ‘দ্য স্টার অব ডেভিড’কে স্থানীয়রা বলছেন একতার প্রতীক। তাদের দাবি, যুগের পর যুগ ধরে তিউনিসিয়ার এই শহরটিতে বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানকে তুলে ধরছে এই চিহ্ন।
রাচিদ সোসি আরও বলেন, দ্য গ্রেট মস্ক অব তিস্তুরের মিনার তিনটি ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। ইসলাম তো অবশ্যই; এ ছাড়া মিনারটিতে রয়েছে দ্য স্টার অব ডেভিড যা ইহুদি ও খ্রিস্টান দুই ধর্মেই গুরুত্বপূর্ণ। নিঃসন্দেহে এই শহরের বিভিন্ন ধর্মের বাসিন্দাদের সহাবস্থানকে তুলে ধরেছে।
বিশ্বে উল্টো ঘড়ি এটিই একমাত্র নয়। ইতালি, চেক রিপাবলিক ও জার্মানিতেও রয়েছে এমন অদ্ভুত ঘড়ি।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.