11/22/2024 লোহিত সাগরে ২০টি ব্লু হোল আবিষ্কার, স্কুবা ডাইভারদের তীর্থস্থান হতে যাচ্ছে সৌদি আরব
মুনা নিউজ ডেস্ক
৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৩৭
সমুদ্রের তলদেশে অপার সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও জীববৈচিত্র্য অনুসন্ধান এবং গবেষণা পরিচালনা করেন স্কুবা ডাইভারা। এ ধরনের ডাইভারদের কাছে শিগগিরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, সারা পৃথিবী থেকেই স্কুবা ডাইভাররা চাইবেন, একবারের জন্য হলেও সৌদি আরব ভ্রমণ করার।
এ বিষয়ে দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের লোহিত সাগরে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া অন্তত ২০টি বিশাল আয়তনের গর্ত রয়েছে। এ ধরনের সামুদ্রিক গুহাকে ‘ব্লু হোল’ নামে ডাকা হয়। সৌদি আরবের ব্লু হোলগুলোর অস্তিত্ব ২০২২ সালে আবিষ্কার করা হয়েছে।
বর্তমানে ২০টি ব্লু হোলের মধ্যে তিনটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখছেন এসব গুহা পর্যটকদের জন্য নিরাপদ কি-না।
সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রফেসর কার্লোস দুয়ার্তে মন্তব্য করেছেন, ‘ভূতাত্ত্বিকভাবে লোহিত সাগরের ব্লু হোলগুলো অসাধারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব ব্লু হোলের জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব এবং ডাইভিং অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করছি, বিশ্বের প্রতিটি স্কুবা ডাইভার তাঁদের অভীষ্ট গন্তব্যের তালিকায় এগুলোকে নিশ্চিতভাবে রাখবেন।’
সমুদ্র এবং সামুদ্রিক গবেষণার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বার্তা দিয়ে গত আগস্টেই সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ একটি ভিডিও রিলিজ করেছে।
কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক ড. শ্যানন ক্লেইন বলেন, ‘আকার, আয়তন, জীববৈচিত্র্য, সৌন্দর্য এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যে আবিষ্কৃত ব্লু হোলগুলো একটির চেয়ে অন্যটি আলাদা।’
তিনি জানান, কয়েকটি ব্লু হোলের গভীরতা ৪০০ মিটারেরও বেশি। এ ছাড়া বেশির ভাগ ব্লু হোলের গভীরতা এখনো মাপাই সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অনাবিষ্কৃত আরও বেশ কিছু ব্লু হোল এখনো রয়ে গেছে।
শ্যানন ক্লেইন বলেন, ‘ব্লু হোল হলো গবেষণার জন্য একটি প্রাকৃতিক ল্যাবরেটরির মতো।’
সৌদি আরবের ব্লু হোলগুলো পর্যটন ও গবেষণার খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.