11/22/2024 তুরস্ক - রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক থাকবেই
মুনা নিউজ ডেস্ক
৬ মে ২০২৩ ১১:৫০
তুরস্কের ক্ষমতায় যেই আসুক না কেনো, রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সুসম্পর্ক থাকবেই। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। ন্যাটো সদস্য হলেও গত এক দশকে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন রাশিয়াকে বন্ধু হিসেবে ধরে রাখা তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটি বহু দেশের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টায় নেমেছে। একসময় সৌদি আরব, ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক ছিল তুরস্কের। কিন্তু দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছে আসার চেষ্টা করেছে আঙ্কারা। এছাড়া সিরিয়া ও মিশরের সঙ্গেও সম্পোর্কন্নয়নের কাজ চলছে। তবে এগুলো কোনোটিই পশ্চিমের কাছে বড় সমস্যা না, যতটা সমস্যা রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার নিয়ে। ন্যাটো সদস্য হয়েও রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার দুঃসাহস দেখিয়েছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগানকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র মনে করা হয়।
তুরস্ক কেনো রাশিয়ার দিকে ঝুঁকল? এমন প্রশ্নের জবাবে আঙ্কারা পলিসি সেন্টারের প্রধান ফাতিহ সিলান বলেন, এটি মোটেও স্বেচ্ছাচারী কোনো পদক্ষেপ নয়, তুরস্কের জন্য রাশিয়ার বন্ধু হওয়া জরুরি ছিল।
রাশিয়া তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ। এই বিশাল প্রতিবেশীর সঙ্গে কাজ করা তুরস্কের জন্যেই লাভজনক। ফলে রাশিয়া যখন গত বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করলো তখন অন্য ন্যাটো দেশগুলোর মতো রাশিয়ার নিন্দা জানানো থেকে বিরত ছিল তুরস্ক। এমনকি পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যখন নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তখন এর বিরোধিতা করেছিল তুরস্ক। সিলান বলেন, রাশিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিবেশীকে পাশে সরিয়ে রাখতে পারে না তুরস্ক। দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। এই সম্পর্ক দুই দেশের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী ১৪ই মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তুরস্ক। আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটি। এতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, এরদোগান তার বিরোধী নেতার থেকে কিছুটা পিছিয়েই আছেন। এরদোগানের অধীনে তুরস্ক যেভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটে ডুবে ছিল, তাই তার সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে। এখন হঠাৎ করে দেশটির এতদিনকার পররাষ্ট্রনীতি যদি বদলে যায় তাহলে দেশটির অর্থনীতিতেও সেই প্রভাব পড়বে। ফলে তুরস্কের ক্ষমতায় এরদোগান না থাকলেও কামাল কিলিচদারোগলুকে রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.