11/23/2024 সহিংস ৫০ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:০০
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ বেড়েছে। বর্ণবাদের কারণে সেখানে সহিংসতা বাড়ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিভিন্ন সময়ই এ নিয়ে কথা বলেছেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতি নতুন এক গবেষণায় বিশ্বে ৫০টি সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় নাম এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাম এসেছে এ তালিকায়।
এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিন অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি)। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। তারা বলছে, দেশগুলোয় রাজনৈতিক কারণে সহিংসতা বেড়েছে।
এসিএলইডি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে পূর্ববর্তী এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এ বছর সহিসংতা ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার।
প্রতিবছর চারটি মানদণ্ড ধরে সহিংস দেশের তালিকা প্রকাশ করে এসিএলইডি। এই মানদণ্ডগুলো হলো সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকার আয়তন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর মোটামুটি সব দেশেই কমপক্ষে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
যে ৫০টি দেশ সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে, সেগুলোকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো, ‘চরম’, ‘উচ্চ’ ও ‘উত্তাল’ সহিংসতাপ্রবণ দেশ। এসিএলইডি বলছে, মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এরপর রয়েছে সিরিয়া ও মেক্সিকো। উত্তাল সহিংস দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকা রয়েছে লিবিয়া, ঘানা ও চাদ। আর বাকি দেশগুলোর অধিকাংশই আফ্রিকা ও এশিয়ার।
নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদন এবং এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে এসিএলইডির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে এটা সামনে এল যে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র ও অগণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তালিকার যে ধাপে স্থান পেয়েছে, সেই তালিকায় সাধারণত সহিংসতাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই ধাপে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মতো দেশ রয়েছে।
স্যাম জোনস বলেন, যে মানদণ্ডগুলোর ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা। এই দুই মানদণ্ডের বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা বেড়েছে। এ জন্য সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.