11/22/2024 হিজাব টেনে খোলার চেষ্টা ; প্রতিবাদ করায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর হামলা
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০৯
হিজাব টেনে খোলার চেষ্টার প্রতিবাদ করায় মেডিকেল ও নার্সিং শাখার মুসলিম ছাত্রী ও কাশ্মীরী মুসলিম ছাত্রদের উপর আক্রমণ করেছে মোদি সরকারের ভারতীয় পুলিশ প্রশাসন। ১৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ফাতেহগড় সাহিব অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এসময় বিক্ষোভরত এসব মুসলিম ছাত্রদের উপর পুলিশদের চড়াও হতেও দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং শাখায় অধ্যয়নরত উজমা নামের এক নারী শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমকে জানান, হিজাব টান দিয়ে খুলে ফেলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সকাল আনুমানিক ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে পুলিশও আমাদের উপর চড়াও হয়। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হলের সকল কাশ্মীরী ছাত্রকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এখন এসবের কিছুই স্বীকার করছে না তারা। আমাদের উপর লাঠিও চার্জ করা হয়েছে। অনেককে জঘন্য ভাবে আঘাত করা হয়েছে। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারো কারো হিজাব টেনে ছিড়েও ফেলেছে। কেনো আমাদের হিজাব টেনে খোলার চেষ্টা করা হবে? অথচ আমরা এদেশের নাগরিক। আমরা ভারতীয় মুসলিম।
তার ভাষ্যমতে, প্রায় ৭০ জন কাশ্মীরী মুসলিম শিক্ষার্থীর ভর্তি সর্দার লাল সিংহ কলেজে স্থানান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ আইএনসি (ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল) কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ার ব্যাপারে কলেজটির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
এছাড়া মুসলিমদের সাথে বৈষম্যের গুরুতর অভিযোগও আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। দাবী করা হয় যে, অনিবন্ধিত এক নার্সিং ও মেডিকেল কলেজে তাদের ভর্তি স্থানান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দেশ ভগত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ও নার্সিং শাখায় ভর্তি হওয়া আরেক মুসলিম শিক্ষার্থী বলেন, আইএনসি কর্তৃক অনুমোদিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবী করা হচ্ছে যে, আমাদের কোর্সের জন্য শুধুমাত্র ৬০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু তারা বেশি পরিমাণে ছাত্র ভর্তি নিয়েছে। তাই এখন আমাদের অন্য কলেজে ট্রান্সফার হতে হবে। পরিকল্পিত ভাবে হোক কিংবা কাকতালীয় ভাবে ভর্তি স্থানান্তর কিংবা এডমিশন ট্রান্সফারের তালিকায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে তাদের সকলেই মুসলিম!
গত ১৫ দিন যাবত আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। হিজাব কান্ডে হোস্টেল ও মেস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। ২০২০ ব্যাচের ছাত্ররা এই অন্যায় ট্রান্সফারের প্রতিবাদে আমাদের সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকায় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে বলে জানা যায়।
সূত্র: দা অবজারভ পোস্ট
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.