11/23/2024 যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার ২২তম বার্ষিকী
মুনা নিউজ ডেস্ক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৬
বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দেয়া ভয়াবহ ‘নাইন-ইলেভেন’ হামলার ২২তম বার্ষিকী আজ। ২০০১ সালের এই দিনে সন্ত্রাসী হামলায়, গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব টুইন-টাওয়ার।
ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমানের দু’টি নিয়ে নিউ ইয়র্কের নর্থ ও সাউথ টাওয়ারে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আকাশচুম্বী টুইন-টাওয়ার। তৃতীয় বিমানের টার্গেট হয় ওয়াশিংটনে আমেরিকান প্রতিরক্ষা দফতর, পেন্টাগন। পেনসিলভেনিয়ার আকাশে বিধ্বস্ত হয় চতুর্থ বিমানটি।
গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া ওই হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ। পঙ্গুত্ব বরণ করেন বহু মানুষ। হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা ও জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রধান ওসামা বিন লাদেন। নাইন ইলেভেন হামলার জেরেই আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার অভিযানের শিকার হয় ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশগুলোও।
পূর্ব আমেরিকার আকাশপথ দিয়ে চারটি বিমান একইসাথে ছিনতাই করে আল-কায়েদা। বিমানগুলো নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আঘাত হানে।
এই হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। এই হামলার ঘটনায় বিশ্বের রাজনীতি ও সামরিক নিরাপত্তার ধারণা পাল্টে যায়, আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশ ওসামা বিন লাদেনকে অভিযুক্ত করে। সে সময়ের লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে বললে অস্বীকার করে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। পরে তৎকালীন আমেরিকান প্রশাসন আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়।
যুদ্ধের দুই মাসে পতন ঘটে তালেবান সরকারের। পরে ২০১১ সালে পাকিস্তানে আমেরিকান সেনাদের অভিযানে নিহত হয় ওসামা বিন লাদেন।
২০১৮ সালে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারে শান্তি চুক্তিতে বসে তালেবান। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে আমেরিকা প্রশাসন। শর্ত মেনে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে ২০২১ সালে পহেলা মে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার শুরু করে। এরপর দেশটির ক্ষমতা দখল করে তালেবান।
সূত্র : এবিসি নিউজ
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.