11/22/2024 লোহিত সাগরে তিন হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের
মুনা নিউজ ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১৩
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে তিন হাজারেরও বেশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক জাহাজ আটকের অভিযোগ তুলে দু’টি যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি এসব সেনা মোতায়েন করে ওয়াশিংটন। লোহিত সাগরে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে উপসাগরীয় নৌপথে সামরিক শক্তি জোরদার করলো যুক্তরাষ্ট্র। এটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিশ্বব্যাপী তেল ব্যবসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট।
তবে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান। দেশটি ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগ করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর জানিয়েছে, পূর্বঘোষিত সেনা মোতায়েনের অংশ হিসেবে ৬ আগস্ট, রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সুয়েজ খালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে।
বাহরাইনভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লোহিত সাগরে ইউএসএস বাটান ও ইউএসএস কার্টার হলো যুদ্ধজাহাজ এসে পৌঁছেছে। এটি পঞ্চম নৌবহরের সামুদ্রিক সক্ষমতা বাড়াবে।
পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার টিম হকিন্স বলেন, এই নৌপথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজকে হয়রানি ও আটক করে আসছে ইরান। এর ফলে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড রোধ ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দাবি, গত দুই বছরে এই অঞ্চলে প্রায় ২০টি আন্তর্জাতিক পতাকাবাহী জাহাজ আটক বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ইরান।
এদিকে ৭ আগস্ট, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ওয়াশিংটনের স্বার্থেই এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সামরিক উপস্থিতি কখনো নিরাপত্তা তৈরি করেনি। এই অঞ্চলে স্বার্থ হাসিলে তারা সবসময় অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতায় মদদ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বেশ ভালোভাবেই নিশ্চিত যে উপসাগরীয় দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, দেশটির রিভ্যুলিউশনারি গার্ডের মুখপাত্র রামাজান শরিফ বলেছেন, তেহরান এমন একটি শক্তি ও ক্ষমতার স্তরে পৌঁছেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জঘন্য কাজের প্রতিশোধ নিতে পারে।
এদিকে লোহিত সাগরে সর্বশেষ সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, গত ৫ জুলাই ওমানের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইরানের দু’টি বাণিজ্যিক জাহাজ আটকের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা প্রতিহত করেছে।
তবে ইরানের মেরিটাইম সার্ভিস বলেছে, এ দু'টি ট্যাংকারের একটি বাহামিয়ান পতাকাবাহী রিচমন্ড ভয়েজারের সঙ্গে ইরানী জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ ক্রু সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.