11/25/2024 ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে এ বছর ২৮৯ শিশুর মৃত্যু : জাতিসংঘ
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫১
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ২৮৯ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার সংস্থাটির শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই তথ্য জানায়। ইউনিসেফ বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে রেকর্ড করা সংখ্যার থেকে এ সংখ্যাটি দ্বিগুণ। ইউরোপে শিশুদের সুরক্ষা খোঁজার জন্য প্রসারিত নিরাপদ, আইনি ও অ্যাক্সেসযোগ্য পথের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানান, মৃত এই শিশুদের সবাই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে ইচ্ছুক বিভিন্ন অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ছিল। গত বছরের প্রথম ছয়মাসের তুলনায় চলতি বছরের শিশুমৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ।
গত কয়েক বছর ধরে ভূমধ্যসাগরের তুরস্ক, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ইউরোপগামী অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই অভিযাত্রীদের অধিকাংশই গিনি, সেনেগাল, গাম্বিয়া সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের।
ইউনিসেফের ‘গ্লোবাল লিড অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’ প্রকল্পের শীর্ষ নির্বাহী ভেরিনা নাউস বলেন, ‘একটি শিশুর মৃত্যু মানে একটি হাসির, একটি স্বপ্নের চিরতরে হারিয়ে যাওয়া। এই শিশুদের মৃত্যু চাইলেই থামানো যেতো।’
‘যেসব শিশু মারা গেছে-তারা আমাদের চোখের সামনে মারা না গেলেও তাদের মৃত্যুর জন্য কোনো না কোনোভাবে আমরা দায়ী। আমাদের সচেতনতা, আইন প্রণয়ন ও তা প্রয়োগে উদাসীনতা তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। সবচেয়ে পীড়াদায়ক যেটি, তা হলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাগরে ডুবে মরার ব্যাপারটি আমরা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছি।’
ইউনিসেফের বৈশ্বিক অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত মানুষ বিষয়ক কর্মকর্তা ভারেনা নাউস বলেছেন, বাস্তব সংখ্যা এর চেয়ে আরো অনেক বেশি। কারণ ভূমধ্যসাগরে অনেক জাহাজডুবির ঘটনায় কেউ জীবিতও থাকে না এবং তার তথ্যও রেকর্ড করা হয় না।
এই ইউনিসেফ কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ১১৬০০ শিশু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
সূত্র: এএফপি
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.